জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো)-তে সকাল ১০:৩০ টা থেকে দুপুর ০১.০০ টা পর্যন্ত একটি আলোচনা সভা, বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এবং সকাল ১০:৩০ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্যে দিয়ে স্পারসো চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সামাদ, (অতিরিক্ত সচিব), কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর মূল আলোচক ছিলেন স্পারসো’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মাহমুদুর রহমান । তিনি বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিস্তারিত রূপরেখা সবার সামনে তুরে ধরেন। এছাড়াও, স্পারসো’র সদস্য (গবেষণা) জনাব মো: মাহমুদ আলী (যুগ্ম-সচিব) ও সদস্য (প্রয়োগ) জনাব মানস মিত্র (যুগ্ম-সচিব) বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, কূটনৈতিক বিচক্ষণতা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। স্পারসোর চেয়ারম্যান ও আলোচনা সভার সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চিন্তা ভাবনা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার সময়ের পরিক্রমায় উত্তরণ নিয়ে দূরদর্শী ভাবনাসমূহ সবার সামনে তুলে ধরেন। সরকার ঘোষিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদ্যাপনের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা বিকশিত করার আহবান জানান তিনি। এছাড়াও, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণের আহবান জানান। আলোচনা সভায় স্পারসোতে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বাংলাদেশ এবং স্পারসোর সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ মোনাজাত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।